রিয়া চক্রবর্তী | রিয়া চক্রবর্তীর ওপর আক্রমন ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হচ্ছে বাঙালি নারী-বিদ্বেষ রূপে

 

ডাইনি এর পুংলিঙ্গ বাচক শব্দ বিশেষ আছে কি ভারতীয় ভাষা-সংস্কৃতিতে? যদি না থাকে তাহলে তার পেছনে কারণ কি? সত্যিই কি আমরা ময়েদের কে কেবল মেয়েই ভাবি ; মানুষ হিসেবে ভাবি কম? ভারতীয় পরিসরে রিয়া চক্রবর্তীর ওপর আক্রমন ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হচ্ছে বাঙালি নারী-বিদ্বেষ রূপে। ভারতীয় সমাজতত্ত্বের ইতিহাসের দিকে দৃষ্টি দিলে সহজেই বোঝা যায়
ব্রাহ্মণ্যধর্ম বরাবরই নারীকে, নারীর যৌনতাকে পুরুষের আধিপত্যে রাখতে চেয়েছে। মনুবাদ বরাবরই নারীর স্বাধীণতার পরিপন্থী। তবে বাঙালী নারীমুক্তি আন্দোলনে ভারতবর্ষের নিরিখে বেশ কিছুটা এগিয়ে। এই বিষয়টাই আসলে বৃহত্তর পরিসরে মনুবাদী পুরুষতান্ত্রিকদের অস্বস্তির কারণ হচ্ছে। একজন পুরুষের মতো একজন নারীর ও যৌন সঙ্গী নির্বাচনের স্বাধীণতা আছে।




  রিয়া চক্রবর্তী দোষী হলে তার জন্য বিচারব্যবস্থা রয়েছে; সোস্যাল মিডিয়ার কেউ তার বিচারের  সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী নিশ্চই নয়। ইদানীং সোস্যাল মিডিয়ায় বাঙালী নরীবিদ্বেষমূলক পোষ্ট ও মিম খুব করে চোখে পড়ছে। কেউ কেউ রিয়া চক্রবর্তীর অনুষঙ্গে বাঙালী মপয়েদের লোভী, কালাযাদুকারীনি,  ডাইনি বলে সম্বোধন করছেন। প্রমাণের অপেক্ষা না রেখে, অপরাধী ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে সমষ্টিকে দোষারোপ করা যেমন লজ্জার তেমনি নিন্দনীয়।